মিলন সব্যসাচী

রিক্তরুক্ষ মরুপ্রান্তে অভিসারে অঝর ধারায়
বৃষ্টি নেমে ভিজে যাক কৃষ্ণবর্ণ ঘাসের শরীর
অন্ধকারে রাত্রি জাগা ঘাসগুলো ডুব—সাঁতারের
ঘোলাজলে ডুবে ডুবে খুঁজে পাবে তৃষিত ঠিকানা।
    
কতকাল উষ্ণতৃষা জেগে আছে মুমূর্ষূ প্রান্তরে
অসময়ে ভীরুমেঘ গলে গলে যদি বৃষ্টি নামে
ফেঁাটা ফেঁাটা বৃষ্টিজলে ক্রমে জ্বলে অদৃশ্য আগুন
জ্বলে পুড়ে শুদ্ধ হোক রাধাকৃষ্ণ যুগল কোকিল।

বাঁধভাঙা অন্ধাবেগ নেঁচে যাবে তুমুল বর্ষণে
ত্রিবেণী নদীর বুকে অভিমানী তরঙ্গে আবার
ছিন্নপালে ক্লান্তমাঝি অনুকূলে ফেলবে নোঙর
ক্রমাগত নোঙরের তীক্ষèফলা কাটবে আঁচড়।

নীলাভ আকাশে ভেসে মেঘপুঞ্জ করে কোলাহল
শর্তহীন বৃষ্টি জলে সিক্ত হবে মাটির অন্তর
ইদানিং চুক্তিভিত্তি বৃষ্টিগুলো সংগোপনে ঝরে
নীলাধারে খঁুজে ফেরে আগন্তক ডলার পাউন্ড।

কৃত্রিম মেঘের কাছে অকারণে স্বদেশী চাতক—
বৃষ্টি চেয়ে ডেকে ওঠে অবিরাম অতৃপ্ত তৃষ্ণায়—
মেঘ না চাইতে ঝরে পড়ে বৃষ্টি। ওগো মেঘমেয়ে—
যথাযথ নিয়মের করিডোরে বৃষ্টি হয়ে এসো।

আমাদের পৃথিবীতে শুদ্ধবৃষ্টি ঝরুক নীরবে
স্বপ্নসিক্ত পরাগের মিষ্টিঘ্রাণে প্রথম কদম—
অভয় অরণ্যে হেসে উঠলেই অশান্ত পৃথিবী—
অনিয়ম দূরে ঠেলে পুষ্পহাসি হাসবে বসন্তে।

 


রচনাকালঃ- ০৪/০২/২০২৪